July 1, 2020

দণ্ডিত সম্রাট উলুঘ বেগ

LOKOGANDHAR ISSN : 2582-2705
Indigenous Art & Culture


-শক্তি মণ্ডল

১৩৯৪ সালের ২২ মার্চ।বিশ্বত্রাস তৈমুর লঙ তার রণনিপুণ সেনাবাহিনীর সাহায্যে,অমিত বিক্রমে দখল করেছেন মারদান দুর্গ।যেটূকু প্রতিরোধ এসেছিল,তাকে সবলে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।এবার বিজয়ী সম্রাট দুর্গ প্রকারের মধ্যেকার বাসিন্দাদের শাস্তি ঘোষণা করবেন।সৈন্যরা এই ঘোষণার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।কেননা, এবার তাদের মওকা।এখন মনের সুখে খুন,লাম্পট্য, লুঠের মজা নেওয়া যাবে। সোনাদানায় ভরে উঠবে তাদের ব্যক্তিগত পুঁজি। এমন সময় পরিবারের বিশ্বস্ত বার্তাবাহক সম্রাটকে একটি চিরকুট দিয়ে গেল।সম্রাট উঠে দাঁড়ালেন। বললেন,”আমি সব দুর্গবাসীর বেআদবি মাফ করে দিলাম।কেননা আজ দারুণ খুশির দিন। এখুনি খবর পেলাম একটু আগেই আমার নাতির জন্ম হয়েছে।সবাই আনন্দ করো। ” এই নাতিই মহম্মদ তারাঘাই বিন শাহরুখ।সাম্রাজ্যের লোকেরা আদর করে বলত ‘উলুঘ বেগ’, অর্থাৎ মহান রাজপুত্র।
উলুঘের জন্ম কাস্পিয়ান সাগরের তীরে সমরকন্দের সুলতানাইয়া প্রাসাদে।বাবা দোর্দণ্ডপ্রতাপ শাহরুখ মির্জা।মা তৈমুর ঘরানার শ্রেষ্ঠ বিদুষী, স্বাধীনচেতা গওহর সাদা।তৈমুরী রীতি অনুসারে নাতি বড়ো হয়ে উঠতে থাকে দাদু ও দাদির স্নেহে যত্নে।

তৈমুর তখন সমরকন্দকে তার রাজধানী হিসাবে গড়ে তুলেছেন।সমরকন্দের অর্থ হল পাষাণ- দুর্গ। আলেকজান্ডার যখন এটি দখল করেন,তখন শহরটির নাম ছিল মরকন্দ।এটি চিনের পীত নদী থেকে রোম পর্যন্ত ৪০০০ মাইল বিস্তৃত পুরোনো বাণিজ্য পথ ‘সিল্ক রুট’-এ প্রাচীনতম জীবন্ত শহর।এ শহর অসংখ্যবার আক্রান্ত হয়েছে। এই বংশের পূর্বপুরুষ চেঙ্গিস একে একেবারে ধুলোতে মিশিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তৈমুর একে ভালোবেসেছিলেন।দেশ বিদেশ থেকে লুঠ করা সম্পদ দিয়ে একে এক নয়নাভিরাম নগরে পরিণত করেছিলেন।

হাসিখুশি, ফুটফুটে উলুঘকে তৈমুরের খুব পছন্দ হল। বিশাল প্রাসাদের ছাদে উঠে তিনি উলুঘকে আকাশ দেখাতেন।তারা দেখাতেন।আর উলুঘ তন্ময় হয়ে তাকিয়ে থাকত আকাশের অপার রহস্যের দিকে। একদিন উলুঘ জিজ্ঞেস করল, “আচ্ছা দাদা, তোমার রাজত্ব বড়ো,না আকাশ বড়ো ?” দাদা বললেন,”আকাশের থেকে বড়ো কিছু নেই।”
উলুঘের বয়স তখন চার বছর, তখন নাতিকে চুমু খেয়ে তৈমুর হাজার হাজার অশ্বারোহী সৈন্য নিয়ে বের হলেন হিন্দুস্তান অভিযানে। ইতিমধ্যেই তিনি দখল করেছিলেন বাগদাদ,পারস্য, মেসোপটেমিয়া আনাতোলিয়া, আর্মেনিয়া, ককেশাস, জর্জিয়া, ইস্ফাহান,কাবুলিস্তান ইত্যাদি বিশাল এলাকা।হিন্দুস্তানে ঢুকে পনেরো দিন ধরে তার বাহিনী জম্মু,দিল্লি,ফিরোজাবাদ,, মিরাটে লুটপাট,খুন, ধ্বংসলীলা চালাল। হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে একলাখ মানুষকে হত্যা করল। তারপর অজস্র রত্ন,এক হাজার দাস ও দক্ষ স্থপতিদের নিয়ে তিনি ফিরলেন সমরকন্দে। নাতির জন্য আনলেন নানা চিত্র, শিল্পকলা ও দুর্লভ গ্রন্থ।
মনোযোগী উলুঘ শৈশবেই গভীরভাবে আকৃষ্ট হলেন নানা শিল্প, মহাকবি ফিরদৌসির কাব্য,ওমর খৈয়ামের রুবাইয়াত, গণিত,জ্যামিতি ও জ্যোতির্বিদ্যার সূত্রগুলির দিকে। তৈমুর তাকে নিয়ে যেতেন যুদ্ধের শিবিরগুলিতে। কিন্তু যুদ্ধ তার ভালো লাগত না।

জ্যেতির্বিজ্ঞানে উলুঘের আকর্ষণ দেখে বাবা তার ছেলেকে উপহার দিলেন টলেমির লেখা ‘আলমাজেস্ট’ বই এবং আকাশের তারাদের কৌণিক দূরত্ব মাপার গ্রিক যন্ত্র ‘আস্তারলাব’। তিনি উলুঘের গৃহশিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত করলেন সেকালের শ্রেষ্ঠ জ্যেতির্বিজ্ঞানী জামশিদ গিয়াসউদ্দিন আল কাশিকে। একদিন আল কাশি তাকে দেখিয়ে আনলেন কিছুকাল আগে ধ্বংস হয়ে যাওয়া মারাখা মানমন্দির।আল কাশি খুব সুন্দরভাবে এর কার্যকারিতা বুঝিয়ে বললেন।এটি উলুঘের মনে গভীর রেখাপাত করল। এরপর তিনি আকাশ দেখা, পড়া,তারাদের অবস্থান , মাপজোক নিয়ে গভীরভাবে মগ্ন হয়ে রইলেন। তিনি বলতেন যে,যখন তিনি ঘোড়ায় চড়ে যান, তখন তার মনে হয় যে তিনি যেন তার পরিচিত আকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। চেনা তারাদের অবস্থান নিখুঁতভাবে নির্ণয় করতে করতে উড়ে চলেছেন।

দশ বছর বয়সে তার বিয়ে হল। এরপর বিভিন্ন সময়ে মা,বাবা বা তার নিজের ইচ্ছায় তার আরও বারোটি বিয়ে হয়েছিল। বিজ্ঞান চর্চার জন্য তিনি আয়ত্ত করেছিলেন পাঁচটি ভাষা।
এরমধ্যে তৈমুর মারা গেলেন। বিশাল সামরাজের সম্রাট হলেন তার বাবা শাহরুখ।উলুঘের বয়স যখন পনেরো, তখন শাহরুখ তাকে সমরকন্দের শাসনকর্তা নিযুক্ত করলেন। তিনি মনোনিবেশ করলেন নগরবাসীর জাগতিক সুবিধা, তাদের শিক্ষা, স্থাপত্য, সঙ্গীত ও শিল্পকলার বিকাশে।প্রজারা এই নিরহংকার,কর্মঠ মানুষটিকে পেয়ে খুব খুশি হল।

উলুঘ জোর দিলেন জনশিক্ষায়।তিনি নানা বিরোধেয় ধর্মামতাবলম্বীদের জন্য সমরকন্দে গড়ে তুললেন তিনটি নতুন ধারার বিরাট মাদ্রাসা। সেখানে যুক্ত করা হল কাব্য, গণিত, জ্যামিতি, জ্যোতির্বিদ্যা ও সঙ্গীত।এগুলির জন্য তিনি বাছাই করা ৯০ জন শিক্ষক নিয়োগ করলেন।নিজেও নিয়মিত ক্লাস নিতে লাগলেন।উলেমারা বলল,”এ আপনি কী করছেন ? কোরান ও হাদিসে বলছে সঙ্গীত হল হারাম।” উলুঘ বললেন, “যা মানুষের চিত্তকে বিকশিত করে,তাই হল আসল ধর্ম।”
এরপর তিনি একটি অসাধারণ উদ্যোগ নিলেন। সমরকন্দের অদূরে একটি পাহাড়ি এলাকায় গড়ে তুললেন সেকালের সবথেকে উন্নত ও সৌন্দর্যমণ্ডিত মানমন্দির। এজন্য তৈমুর সাম্রাজ্যের নানা প্রান্ত এবং গ্রিস, রোম,চিন প্রভতি দেশ থেকে আনা হল ৭০ জন জ্যোতির্বিদ, আরমেলিয়ারি গোলক, সূর্যঘড়ি,খোয়ারিজম সারণি,দুস্প্রাপ্য গ্রন্থরাজি, সর্বোপরি ৪০ মিটার ব্যাসের জ্যোতিষ্ক পর্যবেক্ষণের বিরাট ফকির সেক্সট্যান্ট। অনেক মাপজোক কষে নিখুঁতভাবে এগুলিকে পাহাড় কেটে বসানো হল। সুদৃশ্য তিনতলা মানমন্দিরটি শহরের গর্ব হিসাবে মাথা তুলে দাঁড়াল। আকাশ পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার কাজ শুরু হল পুরোদমে। বিভিন্ন ভাষায় বিজ্ঞানের বইগুলির অনুবাদ ও সঙ্গীত চর্চার জন্য এখানে আলাদা বিভাগ কাজ চালাতে লাগল।সমরকন্দ হয়ে উঠল সেকালের মুসলিম জগতে নব জাগরণের শ্রেষ্ঠ পীঠস্থান।
উলুঘ নারীশিক্ষা ও নারী স্বাধীনতার বিষয়ে উৎসাহ দিলেন। এক্ষেত্রে তিনি সক্রিয় সাহায্য পেলেন তার মা বেগম গওহর সাদির কাছ থেকে।
মানমন্দির থেকে দিনের পর দিন গভীর পর্যবেক্ষণ, হিসাব নিকাশ করে তিনি বের করলেন-
-পৃথিবীর প্রায় নিখুঁত বছরের সময়সীমা।
-চন্দ্রগ্রহণের ক্যালেন্ডার।
-পাঁচটি গ্রহের বছরের সীমা।
-পৃথিবী থেকে চাঁদ ও সূর্যের দূরবর্তী বিন্দুতে অয়ন চলন।
-সহস্রাধিক তারার অবস্থান পঞ্জি,ইত্যাদি।
তিনি দেখালেন টলেমির তথ্যের ভুলগুলি।ইঙ্গিত করলেন, টলেমির মূল তত্ত্বগুলিকেও যাচাই করা দরকার।লিখলেন এক আকর গ্রন্থ,”জিজ উলুঘ বেগ”।মানমন্দিরে তার একজন প্রতিভাবান ছাত্র আল কুশাজি গবেষণামূলক কাজে অমূল্য সহায়তা করলেন।উলুঘ তাকে মানমন্দিরের পরবর্তী অধিকর্তার দায়িত্ব দিলেন।
উলুঘের এইসব কাজে ধর্মের ধ্বজাধারী উলেমারা এবং নানা অঞ্চলের আমির ওমরাহ শেখেরা খুবই রুষ্ট হল।তারা ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে লাগল।তবে সম্রাট শাহরুখ ও বেগম গওহর সাদি ছেলের কৃতিত্বে গর্বিত হলেন।তারা তার অভিযোগকারীদের কোনও গুরুত্বই দিলেন না।এই সময়ে সাম্রাজ্যের পরিধি আরও বাড়িয়ে শাহরুখ নতুন রাজধানী করলেন হেরাতে।সেখানে বাবা ও মা চলে গেলেন।এতে ষড়যন্ত্রকারীদের সুবিধা হল।পরন্তু এই চক্রান্তের জালে পা দিল উলুঘের উচ্চাকাঙ্ক্ষী বড়ো ছেলে আব্দুল লতিফ মির্জা।
তৈমুরী প্রথা অনুসারে পরিবারের ছেলেদের ও নাতিদের সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অংশের শাসক করা হত।ফলে সম্রাট মারা গেলেই উত্তরাধিকারের যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠত।আর সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থায় উলেমা, ওমরাহ,শেখরাও ছিল বেশ শক্তিশালী।উলুঘের বাবা একটি যূদ্ধে গিয়ে মারা গেলেন।সমগ্র সাম্রাজ্যের অধিপতি হলেন উলুঘ। এদিকে রাজধানী হেরাতে বিদ্রোহ হল।উলুঘ গিয়ে সে বিদ্রোহ দমন করলেন। সেখানে বড়ো ছেলেকে আঞ্চলিক শাসক করে চললেন বালাখে আর একটি বিদ্রোহ দমনে। তারপর বালাখ থেকে ক্লান্ত, বিধ্বস্ত হয়ে পা বাড়ালেন সমরকন্দের পথে। ভাবছেন,অযথা কত সময় নষ্ট হচ্ছে। মানমন্দিরে কত গবেষণায় কাজ বাকি আছে!
সুযোগ বুঝে ওৎ পেতে থাকল আব্দুল লতিফ এবং সঙ্গী ষড়যন্ত্রকারীরা।আমু দরিয়া নদীর পাশে তারা অতর্কিতে বন্দি করল উলুঘকে।প্রধান উলেমা তৎক্ষণাৎ ডাকলেন বিশেষ ধর্মীয় বিচারসভা। এতে হাজির থাকল সব ষড়যন্ত্রকারী।
বিচারসভায় শৃঙ্খলিত সম্রাটকে হাঁটু গেড়ে বসতে বাধ্য করা হল। প্রথমেই আব্দুল লতিফ সম্রাটকে ধর্মদ্রোহী, দাম্ভিক ও নাস্তিক হিসাবে অভিযুক্ত করলেন। তারপর আরও অভিযোগের বন্যা বয়ে গেল। বিচারকের আসনে উপবিষ্ট উলেমারা উলুঘকে প্রশ্ন করলেন-
-আমরা জানি এই বিশ্বের সব কিছুর নিয়ন্তা শক্তি হচ্ছেন আল্লাহ্। আপনি কি তা মানেন ?
উলুঘ : এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সর্বশ্রেষ্ঠ শক্তি প্রকৃতি।
-আমরা মনে করি আপনার মানমন্দির হচ্ছে একটি শয়তানের কারখানা। আপনি কি তা মানেন ?
উলুঘ :ওটি সত্যকে আবিষ্কার করার মহান ক্ষেত্র।
-আপনি কি আল্লাহ্ ও কোরান শরিফের বাণীগুলিকে সত্য বলে মানেন ?
উলুঘ : আমি হয়তো চেষ্টা করলে এখনও পুরো কোরান শরিফ মুখস্থ বলতে পারি। তবে আমি পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণ ছাড়া কোনও কিছুকেই সত্য বলে মানিনা।
-তাহলে আপনি কি আল্লাহর ও ইসলাম ধর্মের অবিনশ্বরতায় বিশ্বাস করেন না?
উলুঘ : ধর্মমত অসার প্রতিপন্ন হতে পারে।রাজশক্তির উত্থান পতন ঘটাতে পারে। কিন্তু যা একমাত্র অবিনশ্বর,তার হল বিজ্ঞান।
-আপনি আপনার কাজ ও মতামতের জন্য ক্ষমা চাইলে আপনি সিংহাসন ফিরে পেতে পারেন।না হলে আপনার কঠোর শাস্তি হবে। প্রাণদণ্ডও হতে পারে।
উলুঘ : সিংহাসনে আমার মোহ নেই। আর আমার প্রাণ গেলেও বিজ্ঞানের গতি বন্ধ হবে না।।
সমস্বরে গর্জে উঠল বিচারসভা : “সম্রাট উলুঘ নাস্তিক, দাম্ভিক, ধর্মদ্রোহী।ওকে নির্বাসন দাও,প্রাণদণ্ড দাও।” তীব্রকণ্ঠে প্রতিবাদ করল উলুঘের আর এক ছেলে আব্দাল আজিজ : “এ অন্যায় ; এ ষড়যন্ত্র।” অতি দ্রুত কাপড়ে মুখ বেঁধে তার কণ্ঠস্বর চাপা দেওয়া হল।
বিচারের রায় ঘোষিত হল : ” সম্রাট উলুঘের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ প্রমাণিত হল।তাকে সিংহাসন-চ্যুত করা হল।হজ করে প্রায়শ্চিত্তের জন্য তাকে ও আব্দাল আজিজকে আগামীকাল ভোরেই চলে যেতে হবে মক্কা।” উলুঘ বললেন, “আমার শুধু একটিই নিবেদন আছে।হজ থেকে ফিরে আমি যেন মানমন্দিরেই বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারি।” বিচারকরা দেঁতো হাসি হাসলেন।সভা ভঙ্গ হবার পর তারা আর একটি গোপন সভা করলেন।
পরদিন ভোরে মক্কা যাবার জন্য বের হলেন উলুঘ এবং আব্দাল।প্রাসাদ থেকে সামান্য একটু এগিয়ে যেতেই জল্লাদরা এক এক তলোয়ারের কোপে দ্বিখণ্ডিত করে দিল তাদের দেহ।প্রিয় সমরকন্দের দিকে তাকিয়ে তারা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন।এই খবর মুহুর্তের মধ্যে সমরকন্দের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ল।প্রজারা সব হায় হায় করতে লাগল। মানমন্দিরের অধিকর্তা,উলুঘের পুত্রবৎ জ্যোতির্বিজ্ঞানী আল কুশাজি বুঝতে পারলেন, এখুনি চরম আঘাত নেমে আসবে মানমন্দিরের উপর। তিনি স্পষ্টভাবে শুনতে পেলেন বিবেকের নির্দেশ।প্রাণের মায়া তুচ্ছ করে ঊর্ধ্বশ্বাসে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি এলেন মানমন্দিরে।উলুঘের লেখা গ্রন্থ, মাপজোক,নানা নথি বস্তাবন্দি করে অতি দ্রুত তিনি পালালেন সমরকন্দ থেকে। সামনে প্রবল ধূলিঝড়। তাকে অগ্রাহ্য করে একটি মাত্র লক্ষ্য নিয়ে তিনি এগিয়ে চললেন। তাকে যে করেই হোক পৌঁছাতে হবে কনস্তান্তিনোপলে!!(তথ্যসূত্র : ড.রমাতোষ সরকার,ড.শতাব্দী দাশ ও উইকিপিডিয়া)